ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, দুপুর ২:৩৭

বাংলা বাংলা English English

বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বরিশাল শহরে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে এক শ্রেনীর মূর্খ ভূয়া সাংবাদিক !


 

মাছুদুর রহমান আসলাম, : বরিশালে আতঙ্কের নাম ভুয়া সাংবাদিক। সাংবাদিকতা পরিচয়ে এখন নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গার সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ আবার শহরে মটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে সাংবাদিক লিখে অপরাধ করে বেড়াচ্ছে এ চক্রটি।

চক্রের বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলতে সাহস পর্যন্ত পাচ্ছে না। বিভিন্ন সময় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ চক্রের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠলে ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কেউ কোন ব্যবস্থা নেয়না।

শহরের আশেপাশে দাবড়িয়ে বেড়ানো একদল ভূঁয়া ও মূর্খ হলুদ সাংবাদিক যাদের নিম্নতম সাংবাদিকতার উপরে কোনো অভিজ্ঞতা নেই নাম লিখতে গেলে কলম ভাঙ্গে । এদের প্রতিদিন গড় আয় ২ থেকে ৩হাজার টাকা। বরিশালের বিভিন্ন পয়েন্টে সার্জেন্টেদের কাছ থেকে ২শত টাকা করে গড়ে আদায় করে। এরকম সার্জেন্ট স্পট রয়েছে প্রায় ৩০টি। প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন জায়গায় গাঁজা ও জুয়ার স্পট রয়েছে অন্তত ৮০ থেকে ৯০টি। এখান থেকে আদায় হচ্ছে সপ্তাহে ৩০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা। যার চাপার জোর বেশি তাকে ১হাজার আর যার চাপার জোর কম তাকে ৫০০ এবং যার চাপার জোর আরো কম তাকে ৩০০টাকা। এতো গেল সাপ্তাহিক আয়ের একটি নমুনা। এছাড়াও প্রতিদিন দলবদ্ধভাবে ৪/৫জন ভূঁয়া সাংবাদিক বিভিন্ন রুটির কারখানা, হোটেল রেস্তরা ও বিভিন্ন কল কারখানায় গিয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকির মাধ্যমে নগদ টাকা আদায় করে থাকে। এদের মধ্যে অন্যতম কাউনিয়া বিসিক নগরীর পোর্ট রোড । জানা গেছে, এদের প্রত্যেকেরই রয়েছে আলাদা আলাদা টিম। এই টিমগুলো বিভিন্ন কলকারখানায় গিয়ে ঐসব মালিকদের ফোন ধরিয়ে বলে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকার সম্পাদকের সাথে কথা বলুন। সম্পাদকরা বলে যে, আপনার প্রতিষ্ঠানের পরিবেশের লাইন্সেস নেই। বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ অনুমতি নেই অথবা শিশুশ্রম চালু আছে। ভয় পেয়ে ঐসব মালিকরা তাদেরকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে বিদায় করে। এ বিষয়ে মালিক বলেন, ভাই আছি বড় বিপদে, কে নকল, কে ভূঁয়া, কে আসল? বোঝার কোন উপায় নেই। ছোট খাটো ব্যবসা করে কোন রকমে দিন চালাই। বাংলাদেশের কোন ব্যবসায়ী পরিপূর্ণভাবে সরকারি নিয়ম কানুন মেনে চলতে পারবে না। কোন কোন কাগজে ত্রুটি থাকবেই। আর ঐ ত্রুটির বাহানায় আমাদেরকে হয়রানি করছে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষজন এই সব ভুয়া মূর্খ সাংবাদিকদের ও ভূয়া অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সাধারণ ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।

সব খবর