স্টাফ রিপোর্টারঃ একদিকে মহামারী করোনা, অপর দিকে পবিত্র মাহে রমজান। সারা বিশ্ব যখন করোনার ছোবলে নাস্তা নাবুদ। দুই মুঠো আহার জোগার করতে মানুষ যখন দিশেহারা। ঠিক সেই মুহুর্তে পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার চরগড়বদি গ্রামে ভূমিদস্যু পিতা ও তার সহযোগী ছেলে জোর পূর্বক মেয়ের জমি দখলের জের ধরে মেয়ে ও জামাতাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে। এ সময় ঘর ভাংচু, নগদ অর্থ,স্বর্নালংকার ও মালা মাল লুট পাটের ঘটনা ঘটেছে। আহতরা হলেন, ঐ গ্রামের বাসিন্দা আজাহার হাওলাদারের ছেলে ফারুক হাওলাার ও তার স্ত্রী রুমা বেগম। বর্তমানে আহতরা, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতের স্বজনরা, জানান ঐ গ্রামের বাসিন্দা ফারুক হাওলাদারকে তার শ্বশুর নুরুল ইসলাম হাওলাদার ২০০৭ সালে একই গ্রামের নুরু হাওলাদারের কাছ থেকে ২৬ শতাংশ জমি ক্রয় করিয়ে দেয়। ১ মাস আগে নুরুল ইসলাম তার জামাতার নামে দলিল না করিয়ে প্রতারনা করে ঐ ক্রয় কৃত ২৬ শতাংশ জমি থেকে ৬ শতাংশ জমি তার ছেলে জব্বান হোসেন আল আমিনের নামে দলিল করে নেয়।এবং সেই জমিতে ঘর তুলে দীর্ঘ দিন যাবত ভোগ দখল করে আসছে। শুধু ৬ শতাংশ জমি দখল করেই ক্ষান্ত হননি নুরুল ইসলাম। বাকি ২০ শতাংশ জমির উপর তার নজর রয়ে যায়। ওই জমির জন্য প্রায় সময়ই ফারুক ও তার স্ত্রী রুমাকে জীবন নাশের হুমকি ধামকি প্রধান সহ বিভিন্ন রকমের ভয় ভীতি দেখিয়ে আসছে। এর আগে ও কয়েকবার তার পরিবারকে মার দর করেছে নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে আল আমিন। বিষয়টি ফারুক স্থানীয় গন্য মান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা শালিশ মিমাংশা করে দেয়। কিন্তু কিছুতেই শালিশ মিমাংশা মেনে নিতে পারেনি নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে আল আমিন। তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন বৃস্হপতিবার (১৪ মে) বিকাল ৪ টায় ওই ২০ শতাংশ জমিতে জোর পূর্বক দখল করে ঘর উঠানোর চেষ্টা চালায় নুরুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা। এ সময় ফারুক ও তার স্ত্রী রুমা বাধা প্রধান করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথার কাটা কাটি হয়। এক পর্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে রুমার ভাই আল আমিনের নেতৃত্বে তার বাবা নুরুল ইসলাম,বোন মাকসুদা,মা রাশিদা বেগম,ভাইয়ের স্ত্রী সুমা বেগম ও মেয়ে মীমসহ অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনে মিলে ফারুক ও রুমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে লাঠি পেটা করে। পরে রামদা ও চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আহতদের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনা স্থলে ছুটে যায় এবং তাদের উদ্ধার করে দুমকি থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের অস্থার অবনতি দেখে তাৎক্ষনিক বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করে। এদিকে এ ঘটনার পরপরই স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এর আগে ও পূর্বের ঘটনায় একটি সাধারন ডায়রি করা হয়েছে। আহতের স্বজনরা, আরো জানায় ঘটনার সময় হামলা চালিয়ে তার ঘর ও মালা মাল ভাংচুর, ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, একটি স্বর্নের চেইন,দুইটি আংটি,কানের দুল সহ দুইটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা। তাদের জ্বালা যন্ত্রনায় ফারুক ও তার পরিবার অতিষ্ঠ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।